Hindenburg disaster history | হিন্ডেনবার্গ আকাশের টাইটানিক ইতিহাস

Hindenburg disaster history in Bengali

হিন্ডেনবার্গ নামে হাইড্রোজেন চালিত এই বিমানকে আকাশের টাইটানিক বলা হয়ে থাকে, আর এর ঘটেযাওয়া ভয়ংকর দুর্ঘটনা আকাশের টাইটানিক ধ্বংসের ইতিহাস বলে পরিচিত।

কারণ এই নাৎসি জার্মান বিমানের আকার ও তার সাথে ঘটেযাওয়া দুর্ঘটনা টাইটানিক জাহাজের সাথে সত্যি কাকতালীয় অনেক মিল রয়েছে।

কেমন হত সেই সময়ের বিমান?

জেট ইঞ্জিন আবিষ্কারের বহু আগে সেই সময় যাত্রীবাহী বিমান হত গোলাকার যার গোলাকার কাঠামো বানানে হতো হালকা ও মজবুত স্টিল দিয়ে আর চারদিক মোড়ানো থাকতো একাধিক মোটা কাপড়ের উপর বিভিন্ন অগ্নি নিরোধক আস্তরণে।

বিশাল আকার এই বিমানটি তৈরী করা হয়েছিল ১৯৩৬ সালে আর এটি তৈরী করেছিল তৎকালীন জার্মানির নাৎসি বাহিনী তখন নাৎসি শাসনের প্রধান চিলের এডলফ হিটলার।

Hindenburg disaster in Bengali

কিভাবে উড়তো বিমান ?

এই বিমানের ভিতরে মাঝখানের ফাঁকা জায়গায় বসানো হয়েছিল ১৬ টি বিশাল আকার হাইড্রোজেন গ্যাস বেলুন এই হাইড্রোজেন গ্যাস এটিকে আকাশে ভাসিয়ে রাখতো।

আর এই হিন্ডেনবার্গ Hindenburg বিমানের সামনে ও পিছনে দুইপাশে চারটি টারবাইন লাগানো হয়েছিল বিমানকে তার গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

আরে অবাক ব্যাপার হলো এই বিমানের ককপিট বা ডেক থাকতে বিমানের সামনের একেবারে নিচের দিকে সামনের চাকার ঠিক উপরে, সেখান থেকে এটি জাহাজের মতোই নিয়ন্ত্রন করা হত।

Hindenburg disaster – টাইটানিকের সাথে হিন্ডেনবার্গ মিল

টাইটানিকের সাথে এই বিমানের প্রধান কিছু মিল হল এর বিশাল আকার যেটি এখন পর্যন্ত মানুষের তৈরী সবচাইতে বড় বিমান এটির দৈর্ঘ একটাই বড় ছিলযে বর্তমান বোয়িং Boeing 747 বিমানের চারটির সমান প্রায়।

টাইটানিক জাহাজ যেমন বিশাল আকৃতির হওয়ার পরেও প্রথম রওয়ানা দেয়ার পরেই তার প্রথম গন্তব্যে যাওয়ার পূর্বেই দুর্ঘটনায় ধ্বংস হয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবেযায়।

তেমনি সেই সময়কার নাৎসি জার্মানদের তৈরী পৃথিবীর বৃহৎ এই হাইড্রোজেন গ্যাস চালিত মানুষ পরিবহন করি বিমানটি প্রথম উড়ানের কয়েক ঘন্টা উড়ে আসার পরে অবতরণ করার সময় দুর্ঘটনায় আকাশে থাকা অবস্থায় সম্পূর্ণ ভাবে আগুনে পুড়ে মাটিতে আছড়ে পরে।

তবে টাইটানিক এর সাথে আরো একটি মিল হচ্ছে এতবড় দুর্ঘটনার পরেও এই বিশাল বিমানের সকল যাত্রী মারা যায়নি, অধিকাংশ বিমান যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল।

আশ্চর্য জনকভাবে এই বিমানের প্রথম উড়ানের ৯৭ যাত্রীর মধ্যে মাত্র ৩৫ জন মারা যায়, বাকি ৬২ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানে হয় তারা সবাই বেঁচে যান।

Read More