নীল আর্মস্ট্রং জীবনী | Neil Armstrong Biography in Bengali

Neil Armstrong Biography in Bengali

নীল আর্মস্ট্রং একজন সফল মার্কিন মহাকাশচারী বিজ্ঞানী, আমাদের পৃথিবী নামক গ্রহের বাইরে প্রথম মহাকাশচারী হিসেবে মহাবিশ্বের বা সৌরজগতের অন্তর্গত চন্দ্র গ্রহে বা চাঁদে অবতরণ করে প্রথম মানুষের পায়ের চিহ্ন রেখেছিলেন।

Neil Alden Armstrong Born 5 August 1930, নীল এলডিন আর্মস্ট্রং ৫ অগাস্ট ১৯৩০ সালে আমেরিকার ওহিও অঙ্গরাজ্যে জন্ম গ্রহণ করেন । তার পিতার নাম Stephen Armstrong স্টিফেন আর্মস্ট্রং ও মাতার নাম ছিলো Viola Armstrong ভিওলা আর্মস্ট্রং।

নীলের এক বড় ভাই ও এক বড় বোন ছিলে তাদের নাম ছিলো Dean Armstrong ও June Armstrong, নীল এলডিন আর্মস্ট্রংতার পরিবারের সবথেকে ছোট সদস্য ছিলেন।

Neil Armstrong in Bengali

নীল আর্মস্ট্রংয়ের পিতা একজন সরকারি এডিটর ছিলেন, এর জন্য নীল আর্মস্ট্রংয়ের পরিবারকে বিভিন্ন আলাদা আলাদা শহরে গিয়ে থাকতে হতো, নীলের বয়স যখন পাঁচ বছর তখনি তারপরিবার ২০ টির বেশি স্থান পরিবর্তন করে ফেলেছে। এই স্থান পরিবর্তনের জন্যই নীল আর্মস্ট্রংয়ের পাঁচ বছর বয়সে একবার বিমানে চড়ার অভিজ্ঞতা হয়।

শিক্ষা জীবন – Neil Armstrong Biography in Bengali

ছোটবেলার এই রোমাঞ্চিত অভিজ্ঞতা নিয়েই আর্মস্ট্রং তার স্কুল জীবন শুরু করেন, এবং বিমান উড়ানের পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে থাকেন। নীল আর্মস্ট্রং তার ষোলোতম জন্ম বর্ষে স্কুল ফ্লাইট যোগ্যতা অর্জন করেন। সেই বছর অগাস্ট মাসে প্রথম বিমান চালনা করেন।

সতেরো বছর বয়সে ১৯৪৬ সালে নীল আর্মস্ট্রং এয়ার নটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শুরু করেন ২৬ জানুয়ারী ১৯৪৯ সালে মার্কিন নৌসেনার থেকে তার ডাক আসে নীল সেখানে আঠারো মাসের ট্রেনিং জয়েন্ট করেন। আর বিশ বছর বয়সে তিনি পাইলট স্বীকৃতি অর্জন করেন।

নীল আর্মস্ট্রং১৯৫২ সালে ঐতিহাসিক কোরিয়া যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন , ৭৮ টি ফ্লাইট পরিচালনা করেন এবং ১২১ ঘন্টা আকাশে ওড়ার রেকর্ড করেন। এই কৃতিত্বের প্রাপ্তি হিসেবে তাকে প্রথমে সিলভার মেডেল ও পরে গোল্ড স্টার মেডেল এবং কোরিয়ান সেবিস্টার সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিলো

নীল আর্মস্ট্রংযুদ্ধ ও নৌসেনা থেকে ফিরে তার পড়াশোনা সমান ভাবে চালাতে থাকেন এবং ১৯৫৫ সালে Neil Armstrong এয়ার নটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংএ BH উপাধি অর্জন করেন।

পরবর্তীতে তিনি অ্যাপোলো ৮ চন্দ্র অভিযানে কারিগরি সহায়তার জন্য যুক্ত হন। এবং apollo ১১ মিশনে তাকে কমান্ডার নির্বাচিত করা হয় এবং নাসা সিদ্ধান্ত নেন চাঁদে নীল আর্মস্ট্রংকে প্রথমে নামতে দেয়া হবে। এটা তার জীবনের সবথেকে বড় সৌভাগ্য জনক ঘটনা মানা হয়ে থাকে।

Neil Armstrong Moon Landing – চাঁদে নামার বিবরণ

On July 16, 1969, তিনজন মহাকাশচারী নিয়ে apollo 11 মহাকাশের উদ্দেশ্যে পৃথিবী থেকে রওনা হয়। এই সফল অভিযাত্রী নভোচারী দলের মোট সদর্শ সংখ্যা ছিলো তিনজন, তারা হলেন নীল আর্মস্ট্রং (Neil Armstrong) মাইক কলিং (Mike Collins) বুর্জ অলড্রিন (Buzz Aldrin)।

তার চারদিন পরে 20 July 1969 নীল আর্মস্ট্রং এবং বুর্জ অলড্রিন লুনার মডিউল ল্যান্ডারে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেন। তখন মাইক কলিং আরবিটারে ছিলেন সমস্ত তদারকির দায়িত্বে।

ল্যান্ডার মডিউল চাঁদের একটি কঠিন পাথুরে ও অন্ধকার অংশে অবতরণ করেছিলো, নীল আর্মস্ট্রং প্রথম মহাকাশচারী হিসেবে মডিউল থেকে মইয়ের মাধ্যমে চাঁদের মাটিতে নেমে আসেন এবং পৃথিবী নামক গ্রহের প্রথম মানব হিসেবে পদচিহ্ন একে দেন।

নীল আর্মস্ট্রং প্রথম তার বা পা টি চাঁদের মাটিতে প্রথম রাখেন আর বলে ওঠেন That’s one small step for a man, one giant leap for mankind. অর্থাৎ এই ছোট পায়ের চিহ্নটি মানব জাতির জন্য বড় পদক্ষেপ।

এর ২০ মিনিট পড়ে বুর্জ অলড্রিন চন্দ্রে অবতরণ করেন তারা দুইজনে ৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট ৪০ সেকেন্ড চাঁদের মাটিতে অভিযান ও বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করেন। তাদের এই সফল অভিযানে আমেরিকার একটি জাতীয় পতাকা চাঁদের মাটিতে ওড়ান এবং তার সাথে ভিডিও ধারণ করেন।

এই অভিযানে NASA সাফল্যের পরিচয় ও পরবর্তীতে মহাকাশে একাধিপত্য বিস্তার করে, এই অভিযানের সকলেই আমেরিকা ও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অনেক সমন্বিত সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।

মহাকাশ থেকে ফিরেএসে নীল আর্মস্ট্রং জানান তিনি আর মহাকাশে যেতে চান না। এবং তার নভোচারীর জীবনের সমাপ্তি টানেন, মানব সভ্যতার সবথেকে বড় অভিযানের সাফল ব্যাক্তি নীল আর্মস্ট্রং 25 August 2012 আমেরিকার ওহিও রাজ্যের সিনসিনাটি তে তার জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

Read More